টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশের ব্যাটিং ওয়ানডেতে যেন হারিয়ে গেছে। ফরম্যাট বদলতেই বদলে গেছে টাইগারদের পারফরম্যান্স। প্রথম ওয়ানডেতে বাজে ব্যাটিংয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলো বাংলাদেশ, আর আফগানিস্তান উদযাপন করল সিরিজ জয়।
সিরিজ জেতার লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাট করতে নামলেও স্লো পিচে দু’শ রানও করতে পারেনি আফগানরা। ৩১ বল বাকি থাকতে তাদেরকে ১৯০ রানে থামিয়ে দেয় টাইগাররা।
ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারেই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান তানজিম সাকিব। ১১ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর দলীয় ৩৮ রানে সেদিকুল্লাহ অতল ফিরলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানরা। তৃতীয় উইকেটে ইব্রাহিম জাদরানের সাথে জুটির পথে অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদী ফেরেন মাত্র ৪ রানে।
অপরদিকে, রানের খাতা খোলার আগে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ফিরলে ৭৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে আফগানিস্তান। সাকিবের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন ২২ রান করা মোহাম্মদ নবি।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ দেখেন ইব্রাহিম জাদরান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি আসে গজনফরের কাছ থেকে। তিনি করেন ২২ রান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়লে ৪৪.৫ ওভারে অলআউট হয়ে ১৯০ রানের সংগ্রহ পায় আফগানিস্তান।
এ সময়, বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪২ রানে নিয়ে নেন ৩ উইকেট। আর রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিবউইকেট নেন দুটি করে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। কোনো রান না করেই ফিরেছেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাইফ হাসান, তবে নাজমুল মাত্র ৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরেন। সাইফও দলের ৪০ রানে বিদায় নেন, ২২ রান সংগ্রহ করে। এরপর তাওহীদ হ্রদয় ২৪ রানে ফিরে যান। ৫০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের ইনিংস পুরোপুরি বিপর্যয়ে পড়ে। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রিশাদ হোসেনর স্পিনে ধসে পড়ে দল। শেষ পর্যন্ত জাকের আলি, নুরুল হাসান, রিশাদ হোসেনদের ব্যর্থতার কারণে বাংলাদেশ থেমে যায় ১০৯ রানে।