ঘরের মাঠে এসে অবশেষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৪ রানের হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ খোয়ালো টাইগাররা।
চট্টগ্রামে এদিন আলিক আথাঞ্জে আর শাই হোপের দুর্দান্ত এক জুটিতে বড় স্কোরের পথেই ছিল সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেখান থেকে নাসুম, মুস্তাফিজ এবং রিশাদের বোলিংয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।
বুধবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৪ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
যদিও লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের সূচনাটা ভালো না হলেও কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান ফিল্ডাররা। চারটি সহজ ক্যাচ ছাড়েন তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জীবন সাইফ হাসান। ছক্কার চেষ্টায় মিডঅফ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু সে ক্যাচ ধরতে পারেননি ব্রান্ডন কিং। যদিও ৫ রানের বেশি করতে পারেননি সাইফ।
আর ষষ্ঠ ওভারে জীবন পান লিটন দাস। রোমারিও শেফার্ডের বলে এক্রোস দ্য লাইন খেলতে গিয়ে লিডিংএজ হয়ে আকাশে তুলে দিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক। কিন্তু সহজ সেই ক্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে ফেলে দেন রাদারফোর্ড। জীবন পেয়ে আর দুই রান যোগ করে ব্যক্তিগত ২৩ রানে বিদায় নেন আকিল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে।
একাদশ ওভারে আরও একটি। এবার জীবন পান তাওহিদ হৃদয়। স্কয়ারলেগে এবার ক্যাচ ছাড়েন জেডন সিলস। যদিও আগের দুই ব্যাটারের মতো জীবন কাজে লাগেনি তারও। ব্যক্তিগত ১২ রানে বিদায় নেন শেফার্ডের বলে।
সেই ওভারেই ১৮ বলে ১৭ রান করা জাকেরকেও তুলে নেন ম্যাচসেরা রোমারিও শেফার্ড। পরের ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। এরপর আর সমীকরণ মেলাতে পারেননি লোয়ার-অর্ডাররা।
৩টি করে উইকেট নেন শেফার্ড ও আকিল হোসেইন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দলকে হতাশ করেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং। মাত্র ৪ বলে ১ রান করে বিদায় নেন তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে। এরপর ইনিংস সামলে নেন দুই ব্যাটার অ্যালিক অথানাজে ও শাই হোপ। দুজনই দারুণ ব্যাটিং করে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান।
অথানাজে খেলেছেন ৩৩ বলে ঝোড়ো ৫২ রান, যেখানে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। অন্যপ্রান্তে অধিনায়ক শাই হোপ খেলেছেন ৩৬ বলে ৫৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা।
তবে এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফেন রাদারফোর্ড ০, রোভম্যান পাওয়েল ৩ এবং জেসন হোল্ডার ৪, খারি পিয়েরে ০ রানে বিদায় হন। চেস ১৭ রান করে শেষ মুহূর্তে দলে অবদান রাখেন। আকিল হোসেইন রানআউট হলেও তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল মোস্তাফিজুর রহমান, যিনি ৩ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। তারা দুজনই এক ওভারের মধ্যে নিজেদের দুই উইকেট তুলেছেন। তাসকিন একমাত্র উইকেট নিয়েছেন উইন্ডিজ ওপেনার কিংয়ের।












