আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত হয়েছে। নিহত সাদেক মিয়া আলোকবালী ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। এসময় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার ভোর ৪টার দিকে আলোকবালীর মুরাদনগর গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও বহিষ্কৃত সাবেক সদস্যসচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইমদাদুল হক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে মেঘনা থেকে বালু উত্তোলন ও এলাকার আধিপত্য নিয়ে আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও সম্প্রতি বহিষ্কার হওয়া সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মিয়া গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। নিজেদের শক্তি বাড়াতে দুই পক্ষই কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের পক্ষে যুক্ত করেছেন।
তারই ধারাবাহিকতায় কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এর আগে এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মুরাদনগর গ্রামের বিএনপি কর্মী ইদন মিয়া (৫৫) ও ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বীরগাঁও সাতপাড়া গ্রামে ফেরদৌসী আক্তারকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করা হয়।
ইদন মিয়া বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা কাইয়ুম মিয়ার সমর্থক ও ফেরদৌসি আক্তার বিএনপি নেতা শাহ আলম চৌধুরীর সমর্থক ছিলেন বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন। ওই ঘটনার পর থেকে কাইয়ুম মিয়া তার নিয়ন্ত্রণাধীন মুরাদনগর, বকশালীপুর, বাখরনগর ও বীরগাঁও গ্রামের প্রভাব হারান।
এই প্রেক্ষাপটে আজ সোমবার ভোরে পুনরায় চার গ্রামের দখল পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে সাদেক মিয়া নিহত হন। নিহত সাদেক বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুমের সমর্থক।
নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, আলোকবালীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। কোন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরিদা গুলশান আরা কবির বলেন, মৃত অবস্থায় আমাদের এখানে গুলিবিদ্ধ একজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত অবস্থায় আরও কয়েকজনকে নিয়ে আসা হয়েছে।