ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় অবিলম্বে শক্তিশালী বিমান ও স্থল হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
নেতানিয়াহুর নতুন হামলার নির্দেশে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পর্যবেক্ষকরা। তবে এসব হামলা কখন এবং কোথায় চালানো হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়াতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় এখনও থাকা ১৩ ইসরায়েলি বন্দির মৃতদেহ হামাস এখনও হস্তান্তর করেনি, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকা ওই মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে বিশেষজ্ঞ দল ও ভারী যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। ইসরায়েল গত কয়েক দিনে সীমিত পরিসরে এমন সহায়তা দেওয়ার অনুমতি দিলেও এখন পর্যন্ত সব মৃতদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৯ অক্টোবর মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি সই হয়। পরদিন ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
গাজায় ইসরায়েলের এই ভয়ানক হামলা শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর। সেদিন গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র সদস্যরা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে। সেই সঙ্গে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসে। এরপর গাজায় পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। দুই বছর ধরে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় ৬৮ হাজার ৫০০–এর বেশি মানুষ নিহত হন।












