ভারতের কেরালায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাইলা ওডিঙ্গা। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮০ বছর। বুধবার (১৫ অক্টোবর) ভারতের কেরালা রাজ্যের দেভামাতা হাসপাতাল সুত্রের উদ্ধৃদি দিয়ে বার্তাসংস্থা এপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানায় ওদিঙ্গা কেরালা রাজ্যের কোচি শহরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ওদিঙ্গা। পুলিশের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ওদিঙ্গা সকাল বেলা তার বোন, মেয়ে এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসককে নিয়ে হাঁটতে বের হয়েছিলেন। এছাড়া তার সঙ্গে ভারত ও কেনিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা ছিলেন। তখন তিনি হঠাৎ করে পড়ে যান। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।কেরালার এরানকুলামের এসপি কৃষ্ণ এম বলেছেন, তাকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আফ্রিকার রাজনীতিতে ওদিঙ্গাকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। ২০০৭ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পর তিনি যে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন, তা স্বাধীনতার পর থেকে দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সহিংসতায় পরিণত হয়।এই সংঘর্ষে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন নিহত এবং লাখো মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওদিঙ্গা রাজনীতিতে শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন। তবে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। কিন্তু তিনি একবারও প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। ওডিঙ্গার প্রতিদ্বন্দ্বিতাকালীন এক দশকের ব্যবধানে দুইটি নির্বাচনে দেশব্যাপী ব্যাপক রাজনৈতিক সহিংসতা হয়।
তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন। তার অবদান কেনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ দুটি সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত। যার একটি ১৯৯১ সালে বহুপক্ষীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং অন্যটি ২০১০ সালে নতুন সংবিধান প্রণয়ন। দেশটিতে ২০২৭ সালে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনের আগে তার মৃত্যু কেনিয়ার রাজনীতিতে বিশাল শূন্যতা তৈরি করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।