বাড়িভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা তাদের কর্মবিরতি কর্মসূচি এগিয়ে এনেছেন। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে সারা দেশের সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করবেন শিক্ষকরা। রোববার (১২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণা দেন জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি।

অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি বলেন, প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। এর প্রতিবাদস্বরূপ আগামীকাল সোমবার থেকেই দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এর আগে দাবি আদায়ে সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি শুরু করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এতে পল্টন থেকে হাইকোর্টের কদম ফোয়ারা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলমের নেতৃত্বে একটি দল আন্দোলনকারী শিক্ষকদের রাস্তা ছেড়ে দিতে আলটিমেটাম দেয়।

কিছু শিক্ষককে আবারও প্রেস ক্লাব এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া আরেকটি অংশ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।

এর আগে প্রজ্ঞাপন ছাড়া শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। অর্থ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা শেষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এ ঘোষণা দেন।

জানা যায়, অবস্থান কর্মসূচি প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন শিক্ষক নেতারা। অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী এমন আহ্বান জানান। তবে একপক্ষ এর বিরোধিতা করে সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চ করার দাবি তুলেছেন। তারা শহীদ মিনারে না গিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনেই অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন।

শিক্ষকরা বলছেন, বাড়ি ভাড়া ২০ শতাংশ করা না হলে তারা ফিরবেন না। এর আগে অনেকবার আশ্বাস দিলেও মানা হয়নি। এবার তারা প্রজ্ঞাপন নিয়েই ফিরতে চান। এর আগে তাদের শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।

আগামী ২২ অক্টোবরের মধ্যে এ দাবি মানা হবে বলে জানানো হয়েছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সকাল ১১টা ২০ মিনিটে তারা আলোচনায় বসেন। তবে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সেটি জানা যায়নি।