সুপার ফোরের অঘোষিত ‘সেমিফাইনালে’ পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে ফেললেও পারল না বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১১ রানের হার নিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন অধরাই রয়ে যায়। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার ফোরের লড়াইয়ে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান। শুরুতেই তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসানের তোপে মাত্র ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে মোহাম্মদ হারিসের (২৩ বলে ৩১) প্রতিরোধ, শাহিন আফ্রিদির (১৩ বলে ১৯) ঝড়ো ব্যাটিং আর শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজের (১৫ বলে ২৫) ইনিংসে ভর করে লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় তারা।

এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে লক্ষ্যটা খুব একটা কঠিন ছিল না বাংলাদেশের। তবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৩৫ রানও তাড়া করা সম্ভব হয়নি। স্বল্প পুঁজি নিয়েও লাল সবুজদের হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে পা রাখল পাকিস্তান।

শেষ ওভারে ২৩ রান দরকার ছিল ১ উইকেট হাতে থাকা বাংলাদেশের। তখন ক্রিজে ছিলেন মোস্তাফিজ ও রিশাদ! বল করছেন হারিস রউফ। জয় অবিশ্বাস্য। তবু আশা নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

১ম বল—লেগ বাই ১ রান; ২য় বল—রিশাদ ৪ রান; ৩য় বল—ডট; ৪র্থ বল—রিশাদের ছক্কা!; ৫ম বল—ডট; ৬ষ্ঠ বল—ডট।

এর আগে পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উইকেট হারায় প্রথম ওভারেই। ব্যাটিং ইনিংসের ৫ম বলেই বিদায় নেন পারভেজ ইমন। দলীয় ১ রানে এক ওপেনারকে হারিয়ে যেন কিছুটা চাপেই পড়ে বাংলাদেশ।

সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হন তাওহীদ হৃদয়। ডট বল খেলে নিজের উপর চাপ বাড়াচ্ছিলেন হৃদয়। তা থেকে আর নিস্তার পাননি তিনি। ১০ বলে ৫ করে দলীয় ২৩ রানে বিদায় নেন তিনি।

এরপর বাংলাদেশ উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। হৃদয়ের পর সাজঘরে ফিরেন সিফ হাসান। ভারতের বিপক্ষে ফিফটি করলেও আজ আউট হন ১৫ বলে ১৮ রানে। দলীয় ২৯ রানে সাইফ ফেরার পর ৪৪ রানে বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায় মেহেদি হাসান আউট হলে। এরপর দলকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিয়ে আউট হন নুরুল হাসান ও জাকের আলি।

দলীয় ৭৩ রানে জাকের ৯ বলে ৫ রান করে আউট হলে হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ দল। এরপর ২৫ বলে ৩০ রান করে শামীম বিদায় নেন। শেষদিকে রিশাদ হোসেন চেষ্টা করলেও তাতে আর জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানও দেখেছে ব্যাটিং ধ্বস। টাইগার বোলারদের তোপে দলটির টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়। তবে শেষদিকে শাহিন আফ্রিদি-মোহাম্মদ হারিসদের চেষ্টায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের সংগ্রহ গড়তে সক্ষম হয় পাকিস্তান।বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাসকিন।