প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। তবে কেউ আক্রমণ করলে সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের থাকবে। সোমবার (২০ মার্চ) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কক্সবাজারে বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটির উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনীতে আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে। সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের নতুন মাইলফলক হলো এ সাবমেরিন ঘাঁটি।
শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর বিশাল অবদান রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার নৌবাহিনীকে একটি পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়াও আধুনিকভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে সব বাহিনীকে।এরইমধ্যে ৩১টি যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সাবমেরিন ঘাঁটিতে ৬টি সাবমেরিন ও ৮টি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগই উদ্যোগ নেয় দেশের সমুদ্রসীমায় কীভাবে অধিকার আদায় করা যায়। জিয়া-এরশাদ কেউই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়নি। পরবর্তীকালে মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই বঙ্গোপসাগরের বিশাল অংশে আমরা আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, ’৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় দেশের ভূখণ্ড অরক্ষিত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ’৬৬ সালের ৬ দফায় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের নৌবাহিনীর ঘাঁটি চট্টগ্রামে করার দাবি জানিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব বাধা পেরিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এরই মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।
এ সময় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় থাকবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।


	









