টানা প্রায় ৫ মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। রোববার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলের বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। উপত্যকাটির উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং সাফতাউই এলাকায় দুটি বাড়ি লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়।
এদিকে, মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে গাজাবাসী। হাসপাতালগুলোতে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টিজনিত কারণে ১৫ শিশু মারা গেছে। তারা আশঙ্কা করছে অন্যান্য হাসপাতালে এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের দেইর এল-বালাহতে খাবারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শহরটির কুয়েতি গোলচত্বরের কাছে সাহায্যপ্রার্থীদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে বহু মানুষ নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অব্যাহতভাবে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এই হামলায় গাজায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তথ্যানুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৪১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭১ হাজার ৭০০ জন।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৭৭ জন আহত হয়েছেন। অনেক লোক এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি












