এবার ভেনেজুয়েলার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভেনেজুয়েলায় শক্তিশালী ভূমিকম্প বিরল হলেও কারাকাস ও মারাকাইবোসহ বিভিন্ন শহরে ভবন কেঁপে ওঠায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিয়োসদাদো কাবেলো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ভূমিকম্পে ‘গুরুতর কাঠামোগত ক্ষতি হয়নি’।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাটির ১৪ কিলোমিটার (৮.৭ মাইল) গভীরে, মেনে গ্রান্ডে শহর থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে। মেনে গ্রান্ডে একটি তেলসমৃদ্ধ এলাকা হলেও এর জনবসতি তুলনামূলকভাবে কম।
এছাড়া ভূমিকম্পটি রাজধানী কারাকাসেও অনুভূত হয়েছে, যা কেন্দ্রস্থল থেকে ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে অবস্থিত। ভবন কেঁপে ওঠায় আতঙ্কিত হয়ে অনেক বাসিন্দা তাদের ফ্ল্যাট ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসেন বলে জানিয়েছে এএফপি। ইউএসজিএস জানিয়েছে, এই ভূমিকম্প থেকে বড় কোনো সুনামির আশঙ্কা নেই, ফলে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে একই এলাকায় ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল, যা পার্শ্ববর্তী কলম্বিয়া এবং ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ আরুবা, কুরাসাও ও বোনায়ারেও অনুভূত হয়। তবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৮০ শতাংশ ভেনেজুয়েলাবাসী ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বসবাস করেন। তবে দেশটিতে ১৯৯৭ সালের পর থেকে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়নি। ওই বছর পূর্বাঞ্চলীয় সুক্রে প্রদেশের কারিয়াকোতে ভূমিকম্পে ৭৩ জন নিহত হন।এর আগে ১৯৭৬ সালে কারাকাসে এক ভূমিকম্পে প্রায় ৩০০ জন নিহত এবং ২ হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন।