আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর), জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। এই বছরের ২০২৫ জাতীয় কন্যা দিবসের থিম হলো “বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যাশিশুর অধিকার” (অর্থাৎ Investment Priority, Daughter’s Rights)। এই থিমটি এই বার্তা দেয় যে, শুধুমাত্র প্রতীকী উদযাপনেই সীমাবদ্ধ না থেকে কন্যাশিশুর ভবিষ্যত গড়তে অর্থনৈতিক ও নীতিগত বিনিয়োগ জরুরি অর্থাৎ তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাস্তব কার্যকর উদ্যোগ ও বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে।
২০০৩ সালে কন্যাশিশুদের সুরক্ষা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ৩০ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। একটা সময় ছিলো যখন কন্যা শিশুর চেয়ে পুত্র শিশু বেশি চাইত পিতা-মাতারা। কন্যার জন্মগ্রহণে খুশি হতে পারত না পিতা-মাতারা। কারণ, তখন কন্যা শিশুর চেয়ে পুত্র শিশুকে বৃদ্ধ বয়সের অবলম্বন মনে করা হত। তাই কন্যা শিশুর চেয়ে পুত্র সন্তানকে পরিবারে গুরুত্ব দেয়া হতো বেশি।
তবে সময় বদলেছে, তার সাথে বদলেছে পিতা-মাতার ধারণারও। নানারকম বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে কন্যা শিশুরা এখন পুত্র সন্তানের মতো সমানতালে পরিবারে, সমাজে ও রাষ্ট্রে অবদান রেখে চলেছে। কন্যা সন্তানও বৃদ্ধ পিতা-মাতার অসহায় জীবনে সহায় হয়ে দেখা দিচ্ছে। ক্ষেত্রবিশেষে পুত্র সন্তানের চেয়ে বাবা-মার প্রতি বেশি গুরুদায়িত্ব পালন করছে কন্যারা।
আজ কন্যা শিশু দিবসটি ঘিরে নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপনে অধীনস্ত জেলা ও উপজেলা দপ্তরগুলোকে কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে শিশু ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।