সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, স্ত্রী রুখমিলা জামান, ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের স্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

ক্রোক আদেশ হওয়া উল্লেখযোগ্য স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে— চট্টগ্রামের আর নিজাম রোড আবাসিক এলাকায় ২৪৯৯ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট, পাঁচলাইশের প্রবর্তক সার্কেলে ১৯১৭ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট, পূর্ব নাসিরাবাদে আরামিটর সিমেন্টের নামে ২১৩৫ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাট। এছাড়া আরামিট পিএলসি, পাওয়ার লিমিটেড, ফুটওয়্যার লিমিটেডসহ আরামিট গ্রুপের ৮টি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি ও সেখানকার অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি রয়েছে।

দুদকের পক্ষের তাদের এসব সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন সংস্থাটির উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান। আবেদনে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানলন্ডারিংয়ের অভিযোগে ৯ জন সদস্যের সমন্বয়ে একটি যৌথ অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগসংশ্লিষ্ট সাইফুজ্জামান চৌধুরী, স্ত্রী রুকমীলা জামান, ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের স্থাবর সম্পদমূহ অন্যত্র স্থানান্তর বা হস্তান্তর করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। এসব স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এসব কারণে উল্লিখিত স্থাবর সম্পদগুলো অবিলম্বে ক্রোক করা আবশ্যক।

এই পরিপ্রেক্ষিতে সাইফুজ্জামান, রুকমিলা, আনিসুজ্জামান এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রাম নিজাম রোডের একটি, পাঁচলাইশের একটি, লালখান বাজারের দুটি, পূর্ব নাসিরাবাদের একটি ও চট্টেশ্বরী রোডের একটি ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগ্রাবাদের আখতারুজ্জামান সেন্টারের (মার্কেট) সাইফুজ্জামান ও তার পরিবার-সংশ্লিষ্টদের অংশ, চট্টগ্রামের সার্সন রোডের একটি ও কালুরঘাট শিল্প এলাকার ছয়টি মার্কেটের ভবন ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়।