প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালো না হওয়ার কোনো সুযোগ জাতি হিসেবে আমাদের কাছে নেই। সুতরাং সবাই মিলে এই নির্বাচনটা করতে হবে। ইলেকশন কমিশনের পক্ষে এককভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সূচনালগ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) ওপিনিয়ন মেকিংয়ের (মতামত দেওয়া) কারিগর। সেই সুযোগটা আমরা নিতে চাই। এই নির্বাচনটা ফ্রি-ফেয়ার হতে হবে। অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।
সিইসি বলেন, এই নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই একটি ভালো নির্বাচন হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। ২০২৪ সালের নভেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় ২১ লাখ মৃত ভোটার চিহ্নিত করে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় ৪৫ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত করা হয়েছে। বিশেষ করে, নারী ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হয়েছে, যার ফলস্বরূপ বিপুল সংখ্যক নারী নিবন্ধন করেছেন।
নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির জন্য কাজ করছে জানিয়ে সিইসি বলেন, পোস্টাল ব্যালট ব্যবস্থা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করার পর পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। এটি একটি শংকর পদ্ধতি, যা ডিজিটাল ও পোস্টাল ব্যালটের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সিইসি গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, যত চেষ্টাই আমরা করি না কেন, মিডিয়া, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম জনমত গঠন এবং সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সহায়ক।
তিনি একটি উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন দেখতে চান এবং এজন্য ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের সহায়তা কামনা করেন, যাতে তারা ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেন।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় এই সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।