শিক্ষা ক্যাডার নিয়োগে ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের প্রবেশপত্র নতুন করে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার অনুরোধ জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। নতুন ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রই পরীক্ষার কক্ষে প্রবেশের ক্ষেত্রে কার্যকর বলে বিবেচিত হবে।
আগামীকাল ১০ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষার কেন্দ্র হবে শুধু ঢাকায়।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, আগের ডাউনলোড করা প্রবেশপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। পরীক্ষার্থীদের নতুন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুমা আফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ৭ অক্টোবর সই থাকলেও পিএসসির ওয়েবসাইটে তা বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ৪৯তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার যে সব প্রার্থীর প্রবেশপত্রে মুদ্রিত হলের নামের সঙ্গে টেলিটকের মেসেজে হলের নামের ভিন্নতা রয়েছে, সেসব প্রার্থীকে ৭ অক্টোবর বিকেল ৪টা থেকে নতুন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নতুনভাবে ডাউনলোড করা প্রবেশপত্রটি পরীক্ষার হলে প্রবেশের জন্য কার্যকর হবে।
জানা যায়, দেশের সরকারি কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনে ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করেছে পিএসসি। এ বিসিএসে ৬৮৩ জন শিক্ষা ক্যাডার নিয়োগ দেওয়া হবে।
এদিকে, ৪৯তম বিশেষ বিসিএসে অংশ নিতে আবেদন করেছেন ৩ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী। সে হিসেবে প্রতিটি ক্যাডার পদের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ৪৫৬ জন চাকরিপ্রার্থী।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে— ৪৯তম বিসিএসের মাধ্যমে দেশের সরকারি সাধারণ কলেজে বিভিন্ন বিভাগে প্রভাষক পদে ৬৫৩টি শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হবে। সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ৩০টি শূন্যপদে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি ৬১টি শূন্যপদ বাংলা বিভাগে।
এছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫৫টি, ইংরেজিতে ৫০টি, অর্থনীতিতে ৪০টি, দর্শনে ৩০টি, রসায়নে ৩০টি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ৩২টিসহ বিভিন্ন বিভাগে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে।