নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাবেয়া বেগম (৩৫) নামে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী সোহেল আহমেদ অপুকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লার শান্তিনগর এলাকার একটি বাসা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ৷

নিহত রাবেয়া বেগম ভোলার দক্ষিণ আইচা থানার তাল্লুককান্দা গ্রামের তোফাজ্জল সিকদারের মেয়ে। তার স্বামী অপু বরিশালের কোতোয়ালি থানার চর নিহালগঞ্জ গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে। তাদের চার সন্তান রয়েছে। তারা সবাই ফতুল্লার হরিহর পাড়া শান্তিনগর দুলাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

নিহতের স্বামী অপু জানান, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম সুদে টাকা ধার দিতেন লোকজনকে এবং বিভিন্নজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেন। এ নিয়ে দেড় মাস আগে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে তিনি চার ছেলে সন্তানকে বাসায় রেখে বাহিরে নানাজনের বাসায় থাকেন এবং গার্মেন্টসে কাজ করেন।

তবে বাড়ির লোকজন জানান, সোমবার রাতে তারা অপুকে বাসায় আসতে দেখেছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘরের ভেতর তার স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহতের শিশু সন্তানরা জানায়, তাদের মা-বাবা এক রুমে থাকেন আর তারা পাশের আরেকটি রুমে থাকে। রাতে তাদের বাবা বাসায় এসেছিলেন। রাতে কখন তাদের মাকে হত্যা করা হয়েছে তারা জানে না। তখন তারা ঘুমিয়ে ছিল।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।