বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশে ‘ছদ্মবেশী’ একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে লুট করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা কখনোই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনি।

তিনি বলেন, যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা সবাই লড়াই করেছিলাম, তাকে তারা হরণ করেছে। এই দলটি ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল আবার এখন তারা ছদ্মবেশী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে।

বুধবার দুপুরে ঢাকার চন্দ্রিমা উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের ১০-১৫ জন নেতাকে নিয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজারে ফুল দেন বিএনপি মহাসচিব।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সকাল থেকে চন্দ্রিমা উদ্যানে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিএনপি ও মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাদের ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। বিএনপি মহাসচিবকেও মূল প্রবেশপথ থেকে হেঁটে সমাধিস্থলে যেতে হয়।

মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতাকর্মীদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের, সেই মুক্তিযোদ্ধা দলকে সমাধিতে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা যারা বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ আছি, আমরা ইতোপূর্বে সব সময় গাড়ি সমাধির কাছে নিয়ে আসতাম, সেটাও এবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার নামে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং মুক্তিযুদ্ধের সব আকাঙ্ক্ষাকে তারা পদদলিত করছে। সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস না করে সত্যিকার অর্থেই দেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে পদত্যাগ করুন।