কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন‑ যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে তাদের করা হচ্ছে জরিমানা। রাস্তায় প্রতিটি সড়কে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতি। চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনের গন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া অভিযান পরিচালনা করছেন বিআরটিএ-র ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর গাবতলী, টেকনিক্যাল, শ্যামলী, মিরপুর ১, মিরপুর ১০-সহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চেকপোস্টে প্রতিটি যানবাহনের গন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী কিংবা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করতে পারলেই ছাড় পাচ্ছেন তারা। অন্যথায় মামলা কিংবা জরিমানা করা হচ্ছে।
গাবতলীতে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফ মোর্শেদ মিশু বলেন, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যারা বের হচ্ছেন তারা যৌক্তিক কারণ না দেখাতে পারলে আমরা মামলা দিচ্ছি এবং জরিমানা করা হচ্ছে।
দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুর রহমান বলেন, ঈদের পর কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে রাজধানী থেকে বের হয়ে যাওয়ার প্রবণতা লোকজনের মধ্যে কম দেখা যাচ্ছে। যেসব যানবাহনে মানুষ রাজধানী থেকে বের হচ্ছেন সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের গন্তব্য সম্পর্কে। কেউ কেউ যুক্তি দেখালেও আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেকে অযৌক্তিক বিষয় সামনে আনছেন।অযৌক্তিক বিষয়গুলো প্রতীয়মান হলে আমরা সেসব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছি।