ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমানে করে কলকাতা ফিরছিলেন। মাঝ আকাশে হঠাৎ বিপত্তি। যার কারণে তাকে বহন করা বিমানটি সাত হাজার ফুট থেকে দুই হাজার ফুটে নেমে আসে। এ ঘটনায় মমতা কোমরে ব্যথা পেয়েছেন। অবশ্য তার আগে থেকেই কোমরে ব্যথা ছিল। যার কারণে কষ্ট বেড়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ভাড়া করা ফ্যালকন বিমানে ইদানিং প্রয়োজনে যাতায়াত করেন মমতা। তবে এ দিন যে বিমানটিতে তিনি চড়েছিলেন, নির্দিষ্ট ভাবে সেই বিমানটিতে তিনি আগে সফর করেননি। ঘটনাচক্রে বিমানের দুই পাইলট ছিলেন বাবা ও মেয়ে। বিপত্তি কেটে যাওয়ার মিনিট চারেক পর বিমানটি কলকাতায় অবতরণ করে।
এ দিন আকাশ ছিল যথেষ্ট পরিষ্কার। মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় কিছুই ছিল না। তবে বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বিমানটি হঠাৎ একটি ঝড়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দেখে পাইলট দ্রুত উচ্চতা প্রায় পাঁচ হাজার ফুট নামিয়ে দেন। তাতেই প্রবল ঝাঁকুনি লাগে। বিমানের থাকা মুখ্যমন্ত্রী ও তার সহযাত্রীরা অবশ্য জানতে পেরেছিলেন, তাদের বিমানের সামনে অন্য একটি বড় বিমান এসে পড়েছে। সেটিই বিপত্তির কারণ।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে এবং কেন হয়েছে, তা জানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদি বিমানের সামনে অন্য কোনো বিমান এসেই থাকে, তা হলে বিষয়টি যথেষ্ট গুরুতর বলে একটি সূত্রের বক্তব্য। আর যদি ঝড়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের উচ্চতা হঠাৎ কমিয়ে দিতে হয়, তা হলেও তার সব খুঁটিনাটি জানতে উদ্যোগী হবে কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ উঠলে ভারতের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) তদন্ত করে। সে ক্ষেত্রে বিমান অবতরণের পর পাইলট লিখিত যে রিপোর্ট জমা দেন তা গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, পাইলট রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম আকাশে যখন সাত হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ছয় হাজার ফুটে নামছিলেন, হঠাৎই সামনে ঝড়ের মতো মেঘ দেখতে পান। সে কথা তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে জানান। এটিসি তাকে দুই হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসতে বলে। তিনি সেই মতো নেমে আসেন। বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পাইলটের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তে নামবে ডিজিসিএ। তবে পাইলটের রিপোর্টে দ্বিতীয় কোনো বিমানের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা জানা যায়নি।