আত্মতৃপ্তি, একজন ট্যুরিস্টের সবচেয়ে প্রথম ও প্রধানতম অভিব্যক্তি। খরচ যাই হোক না কেনো একজন ট্যূরিস্টের সেটিসফেকশন থাকতে হবে সর্বপ্রথম। সেটিসফেকশন থাকতে হবে সবক্ষেত্রে।
আপনার ভ্রমণকে সহজ ও আনন্দময় হয়ে উঠার জন্য বিমানবন্দরের সেবা খুবই প্রয়োজন। সেখানে বিমানবন্দরে প্রবেশ থেকে শুরু করে এয়ারলাইন্সগুলোর চেক-ইন কাউন্টারের সেবা, ইমিগ্রেশন কাউন্টার, বোর্ডিং গেট, বোর্ডিং ব্রিজ কিংবা র্যাম্প কোচ পরিশেষে উড়োজাহাজে আসন গ্রহণ। ইন-ফ্লাইট সার্ভিস বিশেষ করে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, খাবার কোয়ালিটিসহ এন্টারটেইনমেন্ট ইত্যাদি একজন ট্যূরিস্টকে ভ্রমণে আনন্দ দিতে পারে। ভ্রমণে উৎসাহিত করে তুলতে পারে।
একজন নতুন আগুন্তকের জন্য ইমিগ্রেশনসহ লাগেজ চেক হওয়ার পর যখন আগমনী বা এ্যারাইভাল লাউঞ্জে হোটেল কিংবা রিসোর্ট থেকে প্লেকার্ড নিয়ে অতিথির জন্য অপেক্ষা করলে একজন ট্যুরিস্ট নিজেকে সম্মানিত বোধ করেন। নিজেকে সিকিউরড মনে করেন। বিমানবন্দর থেকে হোটেল ট্রান্সফার বাহনটি হতে হবে আরামদায়ক। সাথে গাইডকে হতে হবে ফ্রেন্ডলি ও নলেজেবল।
হোটেল কিংবা রিসোর্টের অভ্যর্থণা কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভদের ব্যবহার হতে হবে আন্তরিকতায় ভরপুর। সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অতিথিকে নিজ কক্ষে প্রেরণের ব্যবস্থা করা। প্রতিটি ট্যুরিস্টের চাহিদা থাকতে পারে ভিন্নতায় ভরপুর। একজন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাহিদা হিসেবে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা খুবই প্রয়োজন। যার উপর ট্যুরিস্টের সেটিসফেকশন নির্ভর করে।
ট্যুরিস্টের খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতার কারনে বিভিন্ন রকমের খাদ্যের চাহিদা থাকে। বয়সভেদেও খাদ্যের চাহিদার ভিন্নতা থাকে। সব কিছু বিবেচনায় রেখে পর্যাপ্ত রকমের খাদ্যের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। খাদ্যের উপযোগিতা যদি পরিপূর্ণতা পায় একজন ট্যুরিস্ট আত্নতৃপ্তি পেতে পারে।
একজন মানুষের দৈনন্দিন চাহিদার অধিকাংশই যদি একজন ট্যুরিস্ট হাতের নাগালে পেয়ে যায় তবে সেটিফেকশন থাকে আকাশচুম্বি। ইদানিং ট্যুরিস্টদের মধ্যে কমন একটি চাহিদা থাকে, তা হচ্ছে ওয়াই-ফাই কিংবা ইন্টারনেট সুবিধা। ভ্রমণের মাঝেও যেন সারা দুনিয়া থেকে বিচ্যূতি না ঘটে। এ চাহিদা খুব একটা ব্যয়বহুল নয় কিন্তু সেবার মধ্যে একটি অন্যতম ফ্যাক্টর বলে বিবেচিত।
সাইট সিয়িং ট্যুরের অন্যতম অংশ। নির্দিষ্ট ট্যুরিস্ট এরিয়ার অন্যতম স্পটগুলোর সাথে এলাকা ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ এরিয়াগুলো ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ফলে একজন ট্যুরিস্টের মাধ্যমেও সেই এলাকার ট্যুরিজমের প্রচারনা হতে পারে।
শুধুমাত্র কতিপয় সেবা প্রদান করার মাধ্যমেই একজন ট্যুরিস্টের আত্নতৃপ্তির চূড়ায় পৌছানো সম্ভব। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই সব সেবা প্রদানে গড়িমসি করতে দেখা যায়, যাতে করে একজন ট্যূরিস্টকে সারাজীবনের জন্য হারাতে হয়। তখন সেই ট্যুরিস্ট নতুন কোনো গন্তব্য খুঁজে নেয় নিজের পরিতৃপ্তির আশায়।
বিদেশ বিভুঁইয়ে ট্যুরিস্টদের সেটিসফেকশনের জন্য যারপর নাই প্রস্তুত থাকতে দেখা যায় এয়ারলাইন্সগুলোকে, ট্যুর কোম্পানীগুলোকে, হোটেল মোটেল রিসোর্টগুলোকে। এর জন্য প্রয়োজন সেবার মানসিকতা।
লেখক : মোঃ কামরুল ইসলাম
মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স