আদা শুধু রান্না নয় কাঁচাও আমরা অনেক সময় খেয়ে থাকি। অনেকে আবার স্বর্দি জ্বরেও আদা খেয়ে থাকেন। আদা আর পানি এক সাথে খাওয়ার ফলে আরও বেশি সুফল বয়ে আনতে পারে। নিয়মিত আদা-পানি খেতে পারলে শরীরের অনেক সমস্যাই দূর হয়। আদা ওজন কমাতে সাহায্য করে, বমি বমি ভাব দূর করে, এমনকি নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে শর্করার মাত্রাও।
আসুন জেনে নেওয়া যাক আদা পানি খেলে কী কী উপকার হয়-
আদা পেশির টান কমায়-
অনেকের শরীরে বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা আরও অনেক আগে থেকেই। তবে কম বয়সীদের থেকে বয়স্কদের তুলনামূলক ভাবে বেশি। বাড়িতে বসে থাকার কারণে হচ্ছে জয়েন্ট পেইন। আবার কেউ হয়তো শুতে কিংবা বসতে গিয়ে পেয়েছেন চোট। যার ফলে হাত-পা ফুলে উঠেছে। এমন সমস্যা হলে এক টুকরো আদা ফুটিয়ে সেই পানি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এতে দ্রুতই আরামবোধ করতে পারবেন।
বমি দূর করে-
অনেকেই আছেন যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গা গোলানোর সমস্যা অনুভব করেন। তবে বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থাকে। অনেকে আবার গাড়ীতে যাতায়াত করার সময় বমি বা বমি বমি ভাব হয়। এ সমস্যা দূর করার জন্য আদা-পানি যথেষ্ট। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একগ্লাস আদা মিশ্রিত পানি খেয়ে নিন। যার ফলে গা গোলানো এবং বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পাবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
ওজন কমানোর কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি কিংবা ব্ল্যাক কফির বদলে বেশি কার্যকরী হতে পারে আদা-পানি। এজন্য একটি জগে ঠান্ডা পানি নিয়ে তাতে চিকন করে কাটা আদা, সামান্য লেবুর রস, পুদিনা পাতা ও মধু মিশিয়ে নিন। খেতেও ভালো লাগবে, আবার শরীরে পর্যাপ্ত পানির জোগানও দেবে। কমিয়ে দেবে বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা। যার ফলে দ্রুত ওজন কমবে।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়
বর্তমান সময়ে একটি আতঙ্কের নাম ডায়াবেটিস। টাইপ ২ ডায়াবেটিসে যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি পানীয় হতে পারে আদা-পানি। একগ্লাস পরিমাণ পানিতে প্রতিদিন দুই চামচ শুকনো আদার গুঁড়া গুলে খেতে হবে। তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।