বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ দাঁড়িয়ে আছে নিজের শক্তি নিয়ে। যখনই আন্দোলন শুরু হবে, যখনই সরকারকে পরাজিত করার যুদ্ধ শুরু হবে, তখনই তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে। আমি সেই নিশ্চয়তা পেয়েছি।আমি খুবই আশাবাদী মানুষ। আমি আরও আশাবাদী হয়েছি গত তিনদিনে আমার জেলার (ঠাকুরগাঁও) আমি পাঁচটি উপজেলা সফর করে। দেখেছি মানুষের মধ্যে কী অভূতপূর্ব সাড়া!
শুক্রবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। ২০১১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ১০১৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির চাকরিচ্যুতির দশ বছরপূর্তি দিবস উপলক্ষে ‘চাকুরিচ্যুতিদের মানবেতর জীবনযাপন’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ভার্চুয়াল সভায় যুক্তদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন বলেন, অতীতের যে আন্দোলনগুলোতে আমরা জয়লাভ করেছিলাম, আসুন সেগুলোর মতো জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা করি। আজ এই হোক আমাদের শপথ।
তিনি বলেন, কখনো ভেঙে পড়বেন না, সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে থেকে তো আমাদেরকে উঠে আসতে হবে। আমাদের জেগে উঠতে হবে, আশপাশের মানুষকে জাগাতে হবে। আজ যারা তরুণ-যুবক আছেন তাদের জাগাতে হবে। এ যুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। অতিদ্রুত তা করতে হবে। নয়তো যত দিন যাবে, ততই দেশ ও জাতি বিনষ্টের পথে যাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, যারা আজ এ ভয়াবহ একটা দানবীয় সরকারের মাধ্যমে আমাদেরকে নিষ্পেষণ করছে, নির্যাতন করছে, তাদের যদি আমরা প্রতিরোধ করতে না পারি, তাদের যদি আমরা ব্যর্থ করে দিতে না পারি, তাদেরকে যদি পরাজিত করতে না পারি, তবে এ অবস্থা কিন্তু চলতেই থাকবে। আমাদের কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। সেজন্য আজ সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ঐক্য গড়ে তোলা।
ড. ফারুক আহমেদ শিপনের সভাপতিত্বে ও একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েম্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরিচ্যুতদের মধ্যে আতাউর রহমান, মজিবুর রহমান, আজিজুল হক, উর্মি রহমান, নুরুন্নাহার লাকী, ইয়াকুব মিয়া, আমির হোসেন, মিয়া হোসেন রানা, রবিউল ইসলাম রবি, আবদুল হালিম, আবু হানিফ খন্দকার, মামুনুর রহমান, আশরাফুল আলম, আকরাম হোসেন বক্তব্য রাখেন।