আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ইউক্রেনের একটি বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইয়ের পর বিমানটি ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভগেনি ইয়েনিন জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে আটকে পড়া নাগরিকদের উদ্ধার করতে গত সপ্তাহে বিমানটি কাবুলে গিয়েছিল। অজ্ঞাত পরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তিরা বিমানটি ছিনতাই করে এবং জোর করে সেটিকে ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এই বিমানে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার হওয়া ইউক্রেনের নাগরিকরা ছিলেন বলেও জানিয়েছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রুশ বার্তাসংস্থা তাস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভগেনি ইয়েনিন বলেছেন, ‘গত রোববার আমাদের বিমানটি ছিনতাই করা হয়েছিল। আর মঙ্গলবার বিমানটি কার্যত আমাদের কাছ থেকে চুরি করা হলো। ছিনতাইয়ের পর সশস্ত্র ব্যক্তিরা বিমানটি জোর করে ইরানে নিয়ে যায়।’
ইয়েভগেনি ইয়েনিনের দাবি, যারা বিমানটি ছিনতাই করেছে তারা সশস্ত্র ছিল। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। বিমানটির কী হলো, কিয়েভ ইরানের কাছ থেকে বিমানটি ফেরত চাইবে কি না বা কাবুল থেকে এরপর কীভাবে ইউক্রেনের নাগরিকদের দেশে ফেরানো হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
তবে বিমান ছিনতাইয়ের পেছনে জড়িত থাকার বিষয়ে ইউক্রেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মোহাম্মদ হাসান জিবাকশ জানিয়েছেন, ‘গতকাল রাত ১০টার দিকে বিমানটি জ্বালানি নেওয়ার জন্য মাশাদ বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং এরপরই আবার সেটি কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। বিমান ছিনতাইয়ের ব্যাপারে আমরা ইউক্রেনের দাবি প্রত্যাখ্যান করছি।’