করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে দেওয়া বিশেষ সুবিধার মেয়াদ আর বাড়নো হবে না। আগামী জানুয়ারি থেকে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ না করলে নির্ধারিত সময় পরে খেলাপি হিসেবে গণ্য করা হবে।
তবে ছোট গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে। তারা মোট কিস্তি বা বকেয়ার ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে ওই ঋণকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে না।
মঙ্গলবার বিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অচিরেই নতুন নির্দেশনা জারি করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, একেএম সাজেদুর রহমান খান, আবু ফরাহ মো. নাছেরসহ সব ব্যাংকের এমডিরা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাংকার্স সভা শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনার কারণে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে যে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছিল তার মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ছোট উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এ মেয়াদ কিছুটা বাড়বে। তারা মোট বকেয়া বা কিস্তির ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হিসেবে গণ্য হবেন না।
বেশিরভাগ গ্রাহকই এ টাকা পরিশোধ করেছেন। কিছু গ্রাহক এখনো নতুন সুবিধার আশায় রয়েছেন। কিন্তু এ সুবিধা আর বাড়ানো হবে না।