দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রপথে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় হামলা চালাচ্ছে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বৃষ্টির মতো। সক্ষমতা অনুযায়ী পাল্টা আঘাত করছে ইউক্রেনও।

পাল্টাপাল্টি এই হামলার মধ্যেই নতুন দাবি সামনে এনেছে ইউক্রেন। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির দাবি, রাশিয়ার দু’টি বড় পরিসরের সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে তারা। অন্যদিকে ভূপাতিত করা এই বিমান দু’টিতে ৩০০ জন পর্যন্ত রুশ সেনা অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

শুক্রবার রাতে ইউক্রেনের সরকার দাবি করে, প্যারাট্রুপার বহরকারী রাশিয়ার দু’টি সামরিক বিমান ভূপাতিত করেছে তারা। রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে বিমান দু’টিকে গুলি করে নামানো হয়। অবশ্য বিমান ভূপাতিতের ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য সামনে আনেনি দেশটি।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার কিয়েভের ২০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত ভ্যাসিলকিভের কাছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আইএল-৭৬ মডেলের একটি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে তারা।

এছাড়া বেলারুশের সংবাদমাধ্যম নেক্সটা জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পার্শ্ববর্তী বিলা সেরকভা নামক এলাকায় রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আইএল-৭৬ মডেলের আরেকটি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। বিলা সেরকভা এলাকাটি কিয়েভ থেকে ৫০ মাইল দক্ষিণে অবস্থিত।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গুলি করে ভূপাতিত করা এই দু’টি সামরিক বিমানের আরোহীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। আইএল-৭৬ মডেলের এই বিমানগুলো ১৯৭৪ সালে ব্যবহার করা শুরু হয় এবং এগুলো মাঝারি পাল্লার সামরিক পরিবহন বিমান হিসেবেই পরিচিত।

চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই বিমানটি পরিপূর্ণ সামরিক সরঞ্জামে সজ্জিত ১৫০ থেকে ২২৫ জন সেনা বহন করতে সক্ষম। মূলত প্যারাট্রুপারদের যুদ্ধে ময়দানে নামানো এবং যুদ্ধরত সেনাদের জন্য পুনরায় অস্ত্র সরবরাহ করার কাজে এই ধরনের বিমান ব্যবহার করা হয়ে থাকে।