রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযানে নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র রাষ্ট্রসমূহ এই নির্দেশকে ‘আগ্রাসন’ হিসেবে অভিহিত করলেও চীন তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে।

বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলন হয়; সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের মুখাপাত্র হুয়া শুনয়িইং। সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেন শুরু হওয়া রুশ ‘আগ্রাসন’ ইস্যুতে চীনের অবস্থান জানতে প্রশ্ন করেন দেশটির সংবাদিকরা।

জবাবে শুনয়িইং বলেন, ‘আপনারা যাকে ‘আগ্রাসন’ বলছেন, তা আসলে পশ্চিমা দেশ ও সেসব দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর ব্যবহৃত শব্দ এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গী। আমাদের অবস্থান সে রকম নয়।’

‘পূর্ব ইউরোপের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তা শুরু থেকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চীন। উপস্থিত মুহূর্তে আমরা সবপক্ষকে সংযমের অনুরোধ করছি এবং পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে বিষয়ে সবাইকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ইউক্রেন ইস্যুতে গেল কয়েকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নতুন মাত্রায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। আজ সকাল ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষনা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর সঙ্গে সঙ্গেই ইউক্রেনের রাজধানী ও আরও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায় রাশিয়া থেকেও।

রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার এই আক্রমণের মুখে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়া আতঙ্ক ফুটে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেকে সেখানে জানিয়েছেন, জীবনের নিরাপত্তার জন্য তারা নিরাপদ আশ্রয়ে, এমনকি বাড়ির বেজমেন্টেও অবস্থান নিয়েছেন।

টেলিভিশন ফুটেজে কিয়েভের মানুষকে দলবেঁধে রাস্তায় প্রার্থনা করতে দেখা যায়। এছাড়া কিয়েভ থেকে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, রাজধানীর রাস্তায় খুব কম মানুষের দেখা মিলছে এবং বহু মানুষ টাকা তোলার মেশিনের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।

ইউক্রেনে রুশ অভিযান বন্ধে ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘মানবতার দোহাই’ দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যুদ্ধ ইউক্রেইনের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি নিয়ে আসবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর পরিণতি ‍সুদূরপ্রসারী হবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

সূত্র: এএফপি, রয়টার্স