মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা পালিত হবে আগামী ২১ জুলাই। সে উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকবে ২০ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত, অর্থাৎ মোট তিন দিন।

করোনার এ সময়ে ঈদে শ্রমিকরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে বাড়ি যেতে পারেন, সেজন্য ১৮ জুলাই থেকে ছুটি ঘোষণা করছেন পোশাক কারখানার মালিকরা। সরকারি ছুটির পাশাপাশি শ্রমিকদের বার্ষিক ছুটিও যোগ করে দিচ্ছেন তারা।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, দেশে করোনার অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ অবস্থায় পোশাক শ্রমিকের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সরকারঘোষিত ছুটির সঙ্গে বাড়তি ছুটি দিচ্ছে কারখানাগুলো। তারপরও আমরা চাই শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুক।

তিনি বলেন, এমনিতে সরকার ঈদ উপলক্ষে তিনদিন ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে গার্মেন্টস কারখানাগুলোর ছুটির বিষয়ে মঙ্গলবার রাজধানীর শ্রম ভবনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বৈঠক করবেন। এরপর বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

নিটওয়্যার কারখানা মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর পরিচালক ফজলে শামীম এহসান বলেন, আমরা ১৮ জুলাই থেকেই কারখানা শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ছুটি দিয়ে দিচ্ছি, যাতে তারা দল বেধে বাড়ি না যায়।

এ বিষয় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ঈদে সরকারি ছুটি তিন দিনের বেশি দেওয়ার এখতিয়ার নেই। তবে যদি কোনো কারখানা মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় করে ছুটি বাড়ান, তাহলে বাড়াতে পারেন।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটির বিষয় নিয়ে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরই আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, শ্রমিকরা ঈদেই ছুটি পেয়ে থাকেন। তাই ঈদের তিন দিনের ছুটির সঙ্গে আরও দুদিন বাড়ানোর দাবি করছি।

ইউনিয়ন গার্মেন্টস শ্রমিকদের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় দুই কোটি লোক রয়েছেন। এর মধ্যে এক কোটি ২৫ লাখ শ্রমিক অন্যান্য সেক্টরে কাজ করছেন। তারা ঈদ আনন্দ করতে গ্রামে যাচ্ছেন। তাদের বেলায় করোনা হচ্ছে না। করোনা কেবল গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য। ছুটি আরও বাড়ানো হোক।