ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা ফের বাড়তে শুরু করেছে। উত্তেজনার পারদ বাড়িয়ে মস্কোতে নিযুক্ত আমেরিকান দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত বার্ট গরম্যানকে বহিষ্কার করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ এ খবর জানিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিবিসি জানায়, কূটনীতিক বার্ট গরম্যানকে বহিষ্কারের জন্য মস্কো কী কারণ দেখিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।

যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানাবে বলেও আরআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের পরিস্থিতির অবনতি ঘটে সেখানে যেকোনো সময় যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন। বিবিসি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সাংবাদিকদের পেসকভ বলেন, যেকোনো মুহূর্তে তথ্য আক্রমণের ক্ষেত্র থেকে এমন পরিণতির দিকে যাওয়ার ঝুঁকি আছে, যা আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি যুদ্ধের একটি নতুন বিস্তার ঘটাতে পারে।

ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনের রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ডনবাস অঞ্চলে সহিংসতার খবরে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং সেখানকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

সীমান্ত থেকে কিছু রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহারের দাবির পুনরাবৃত্তি করেছে মস্কো। তবে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটিতে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে তারা।

এদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরিকল্পনা করছে এমন খবরও প্রত্যাখ্যান করেছেন পেসকভ। অবম্য সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মস্কো বারবারই এই খবর অস্বীকার করে আসছে।

অন্যদিকে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার জন্য বাহানা খুঁজছে বলে বুধবারই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ডনবাসে গণহত্যা, গণকবর পাওয়া ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ‘মিথ্যা’ অজুহাতের ভিত্তিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরিই বলেছিলেন, ডনবাসে গণহত্যা চলছে।

তবে আমেরিকান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমগুলো গল্প বানাচ্ছে। এগুলোর একটিকে ভিত্তি বানিয়ে ইউক্রেনে হামলা করবে রাশিয়া।

নেড প্রাইসের দাবি ডনবাসে রাশিয়ার এসব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

তবে পেসকভ ফের ডানবাস ইস্যু তুলে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারিই পুনরাবৃত্তি করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।