আন্তর্জাতিক একক কোনো সংগঠনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে ব্রিকসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ সংগঠন প্রস্তুত হওয়ার বা শুরুর দিকে আমরা ছিলাম। কিন্তু প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হতে পারিনি। এখন যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুধবার (২১ জুন) গণভবনে সুইজারল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই এই জোটের প্রথম প্রস্তুতি নেয়া হয়, তখন থেকেই এই জোটে যোগদানের ব্যাপারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ইতিবাচক। বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অর্থ ব্যবহারের কোনো জোট হলে বাংলাদেশ তাতেও যোগ দেবে। দেশের জন্য যেটা ভালো, সেটাই করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ যদি বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ ব্যবহারের ব্যবস্থা নেয়, আমরা সেখানে আছি। কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করছি। নিজস্ব অর্থের বিনিময়ে যেন আমরা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। সেজন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। ডলারের ওপর নির্ভর না হয়ে যেন অর্থ বিনিময় করতে পারি, সেজন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি। কার্যক্রম হলে আপনারা দেখতে পাবেন। দেশের জন্য যেটা কল্যাণকর সেটাই করব।
তিনি বলেন, বাজারে কালোবাজারি, সিন্ডিকেট রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। বৈশ্বিক খাদ্যমন্দা ঠেকাতে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এজন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য উৎপাদন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যেসব পণ্য সিজনাল, তা সংরক্ষণ করে যেন আপদকালীন সময়ে সরবরাহ করা যায় সেজন্য বিভাগীয় পর্যায়ে ফ্রিজিং গুদাম করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচনের সময় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে দেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে বলেও জানান তিনি।