বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির এক দফা দাবি শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। অবিলম্বে পদত্যাগ করো। সংসদ বিলুপ্ত করো। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করো। দেশ চলবে নতুন পার্লামেন্টের নেতৃত্বে। নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সেই পার্লামেন্ট গঠিত হবে। নির্বাচন একটাই হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।’

সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে বগুড়া শহরের সেন্ট্রাল হাইস্কুল মাঠে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার দেশের সব খেয়ে ফেলেছে। আসলে সরকারের কোনো তল নেই, শুধু খাচ্ছে আর খাচ্ছে। হীরক রাজার দেশে পরিণত করেছে। হিরক রাজা যেমন ইচ্ছে তেমনভাবে দেশ চালাতো। কিন্তু পরে জনগণ বিদ্রোহ ঘোষণা করে বলল দড়ি ধরে মারো টান,রাজা হবে খান খান। এই সরকারেরও তেমন সময় এসেছে এদেরও খান খান করে দিতে হবে। আমাদের দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। তবে তার আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ৪০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

bogra-6

ফখরুল বলেন, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। এসব পুনরুদ্ধার করতে হলে তরুণদেরকে নেতৃত্ব দিতে হবে। দেশ আজ চরম বিপদের সম্মুখীন। এমন সংকটে বাংলাদেশ কখনো পড়েনি। আমরা এই সংকটকালে তরুণ প্রজন্মের ওপর আস্থা রাখতে চাই। আজ রাস্ট্র্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে দেশ পরিচালনা করছে সরকার। আবার তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে।

bogra-2

বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা ২০০৮ সালে ছলচাতুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একতরফা ও ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। আজ সরকার রাজনৈতিক কারণে মেধাবী শিক্ষার্থীদের চাকরি দিতে পারে না। কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে না। আসলে তারা করবে কীভাবে তারা তো লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচার এবং বেগম পাড়ায় বাড়ি বানাতে ব্যস্ত। তাদের লক্ষ্য হলো লুট করা।

তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। এসব পুনরুদ্ধার করতে হলে তোমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। দেশ আজ চরম বিপদের মুখে। এমন সংকটে দেশ আর কখনও পড়েনি। এ সংকটকালে আমরা তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।

এর আগে দুপুর ২টা থেকে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করেন। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলার প্রায় সব জেলা থেকে নেতাকর্মীরা এ সমাবেশে অংশ নিতে সভাস্থলের আশপাশে সমবেত হন।