বাংলাদেশের পর্বতারোহনের ইতিহাসে আরেক এক নজির গড়লেন চট্টগ্রামের বাবর আলী। পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয়ের দুদিনের মাথায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসে উড়ালেন লাল-সবুজ পতাকা। আজ সকাল ৬টা ৫ মিনিটে লোৎসের চূড়ায় উঠেন তিনি। এক অভিযানে হিমালয়ের দুই শৃঙ্গ জয়ের ইতিহাসও গড়লেন এই পর্বতারোহী।
বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ লোৎসের চূড়ায় প্রথমবার উড়লো লাল সবুজের পতাকা। অভূতপূর্ব ও রোমাঞ্চকর নতুন এই অধ্যায়ের সূচনা করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫ মিনিটে লোৎসে পর্বত চূড়ায় পৌঁছান তিনি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বাবর আলীই প্রথম ব্যক্তি যিনি একই অভিযানে দুটি আট হাজারী শৃঙ্গ জয় করলেন। দুই দিন আগে রোববার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান তিনি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর পর আবারও কোনও বাংলাদেশি এভারেস্ট জয় করেন।
এভারেস্ট জয়ের পর বাবর নেমে আসেন ক্যাম্প ৪-এ। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে সোমবার মধ্যরাতে লোৎসের চূড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ক্যাম্পের ২৬ হাজার ফুট উচ্চতার ওপরের অংশকে বলা হয় ‘ডেথ জোন’। অবশেষে ভোরে ২৭ হাজার ৯৪০ ফুট উচ্চতার লোৎসে পর্বত শিখর স্পর্শ করেন বাবর আলী।
বাবরের এই জয়ের খবর জানিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।
৩৩ বছর বয়সী এই পর্বতারোহীর বাড়ি চট্টগ্রামে। পেশায় তিনি একজন চিকিৎসক। পড়াশুনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। মূলত বই পড়ে হিমালয়কে কাছ থেকে দেখার ইচ্ছে জাগে বাবর আলীর।
ট্রেকিং জগতে তার হাতেখড়ি হয় ২০১০ সালে। ওই বছর পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন দুর্গম পাহাড় চষে বেড়ান। সফলতার সঙ্গে পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার পর বিশ্বের বড় বড় পর্বতে ওঠার পরিকল্পনা করেন। এরপর গত এক দশকে হিমালয়ের নানা পর্বত জয় করেছেন তিনি।