করোনাভাইরাসের নতুন ও মারাত্মক সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ‘ওমিক্রন’ সারা বিশ্বেই উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সতর্ক বাংলাদেশও। নতুন এ ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঠেকাতে গণপরিবহনে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। রোববার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
তবে বাস্তবতা হলো গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি এখন নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে প্রায় ৬ হাজার বাস ও মিনিবাস চলাচল করে থাকে। সরকারি নির্দেশনা শিথিল করায় এসব বাসে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে না। আসনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ট্রেনেও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার কোনো নির্দেশনা জারি করেনি। নির্দেশনা জারি করলে তা আমাদের কাছে আসবে ও তা আমরা বাস্তবায়ন করবো।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, নতুন এ ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সকল দেশকে এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করেছে। যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি এবং লেসোথোর সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধ করেছে। করোনা ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকেও অধিক সংক্রামক বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক সময় সময় ঘোষিত অন্যান্য আক্রান্ত দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে। সকল ধরনের (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। প্রয়োজনে বাইরে গেলে ঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা দাফতরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে। কোডিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাস করার নিমিত্তে কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচারণা চালানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ/মন্দির/গির্জা/প্যাগোডার মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।