করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে বয়সসীমা আরও কমানো হলো। আজ বৃহস্পতিবার টিকা নিতে নিবন্ধন করতে সরকারি সুরক্ষা অ্যাপে ২৫ বছরের নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর বা মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ১৯ জুলাই দেশে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের বয়স ৩০ বছরে নামিয়ে আনা হয়।

এর আগে একাধিকবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকা নিতে বয়সসীমা ১৮ বছর করার চিন্তা ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন।

গত ১৫ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে। আমরা চিন্তা করছি টিকার জন্য বয়সসীমা আরও কমিয়ে আনা যায় কিনা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। উনারও একটা নির্দেশনা আছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিও জানিয়েছে, ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া যায় কিনা।’

তারও আগে গত ১২ ‍জুলাই কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি আরও মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসতে বয়সসীমা ১৮ বছরে কমিয়ে আনতে সুপারিশ করেন।

প্রসঙ্গত, দেশে ৫৫ কিংবা তদূর্ধ্ব বয়সসীমার ব্যক্তিদের জন্যই সুযোগ রেখেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় বয়সসীমা কমিয়ে ৪০ বা তদূর্ধ্ব করা হয়। সেখান থেকে কমিয়ে তৃতীয় দফায় করা হয় ৩৫ বছর। এরপর চতুর্থ দফায় বয়স ৩০ বছরে নামিয়ে আনা হয়। আর এবার ২৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বেশি বয়সীদের জন্য সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করা যাচ্ছে।