দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন আরেকটি ধরন শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ দেশটির গবেষকরা। অন্যান্য ধরনের তুলনায় আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে করোনার সি.১.২ নামের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন গবেষকরা। সেই সাথে নতুন ভ্যারিয়েন্টটি কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের সুরক্ষাকেও ফাঁকি দিতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেস (এনআইসিডি) এবং তাদের অংশীদার কেওয়াজুলু নাতাল ইনোভেশন অ্যান্ড সিকোয়েন্সিং প্ল্যাটফরম (কেআরআইএসপি) করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সি.১.২ শনাক্ত করেছে।
গবেষকরা বলেছেন, দেশটিতে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় চলতি বছরের মে মাসে। গবেষকদের দাবি, তার পর থেকে এই ভ্যারিয়েন্ট ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, চীন,মৌরিশাস, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ডেও শনাক্ত হয়েছে।

গবেষণার লেখকরা জিনোম সংখ্যার এই বৃদ্ধিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বেটা এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাবের শুরুর দিকের মতোই বলে মন্তব্য করেছেন।

কীভাবে করোনা ভ্যাকসিনের সুরক্ষাকে ফাঁকি দিতে পারে সি.১.২ ভ্যারিয়েন্ট, সেটিরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন গবেষকরা। তারা বলেছেন, নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডিকে ফাঁকি দিতে সক্ষম করোনাভাইরাসের এন৪৪০কে এবং ওয়াই৪৪৯এইচ মিউটেশন সি.১.২ এর সিকোয়েন্সিংয়ে পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আরও বলেছেন, এসব মিউটেশন ভাইরাসের অন্যান্য অংশের পরিবর্তনের সাথে মিলিত হয়; যা পরবর্তীতে অ্যান্টিবডি এড়াতে সহায়তা করে।

আবার যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, গত ২৮ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮ হাজার ৭৪৭ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩১ জনে পৌঁছেছে ও মারা গেছেন ৮১ হাজার ৫৯৫ জন।