আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ৯ জন একই পরিবারের সদস্য ও তাদের মধ্যে ৬ জনই শিশু। রোববার কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় ড্রোন হামলায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

রোববার মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড জানায়, আত্মরক্ষার স্বার্থে কাবুলে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কাবুল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী একজন আত্মঘাতী হামলাকারীকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।

এদিকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত একজনের ভাইয়ের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে ২ বছর বয়সী একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, নিহতরা সবাই খুব সাধারণ পরিবারের সদস্য।

তিনি আরও বলছেন, আমরা আইএস বা দায়েশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই এবং ওই বাড়িতে আমার ভাইয়েরা তাদের পরিবারের সঙ্গেই বসবাস করতো। এদিকে প্রতিবেশী ও হামলার প্রত্যক্ষদর্শীরা সিএনএন’কে জানিয়েছেন, কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

এক প্রতিবেশী সিএনএনকে জানান, ‘হামলার পর ওই বাড়িতে আগুন ধরে যায় এবং প্রতিবেশীরাসহ আশপাশে থাকা মানুষ আগুন নেভাতে সেখানে পানি নিয়ে যান। হামলায় নিহত পাঁচ থেকে ছয়জনের মৃতদেহ অমি সেখানে দেখেছি। নিহতদের মধ্যে ওই পরিবারের পিতা, একজন অল্পবয়সী বালক ও দু’জন শিশুও ছিল। হামলায় তাদের মৃতদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এছাড়া সেখানে দু’জন মানুষ আহত হয়েছেন।

অবশ্য রোববার রাতে নিজেদের ভুল স্বীকার করে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায় যে, তাদের হামলায় বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিরাপরাধ মানুষের হতাহতের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে ব্যথিত বলেও দাবি করেন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান।