প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা আমাদের দেশ পেয়েছি, কারও খবরদারির কাছে নতজানু হব না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ আমাদের, স্বাধীন জাতি আমরা
রোববার (১৮ জুন) সকালে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দরবার’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের এতো দ্রুত উন্নয়ন অনেকে সহ্য করতে পারছেন না বলেই নানা বাধা ও চক্রান্ত হচ্ছে। তবে এ নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ শর্ত দিয়ে বেঁধে রাখতে পারে না। বাংলাদেশ কারও খবরদারির কাছে নতজানু হবে না। এটাই সরকারের সিদ্ধান্ত।
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের প্রত্যয় নিয়ে সরকার দেশ গড়ার কাজ করছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলতে পারে সরকার সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী করে তোলা হচ্ছে।
দুর্নীতি করতে নয় দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি এমন মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমার পূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিল (বিএনপি) বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির কারণে তখনো বিশ্ব ব্যাংক তাদের অর্থ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তখনকার সরকারের সাহস ছিল না যে তাদের প্রতিবাদ করে, কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যখন আমাদের ওপর দোষারোপ করল আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। কারণ আমার কোনো দুর্বলতা ছিল না। আগের সরকার পারেনি কারণ তাদের দুর্বলতা ছিল। তারা সত্যিই দুর্নীতি করেছিল। আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘পদ্মা সেতু করার একটা ঘটনাই আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেমন প্রতিটি ক্ষেত্রে শুধু শর্ত আর শর্ত আর নানা কথা, এখন আর সেটা করতে কেউ সাহস পায় না। বাংলাদেশকে এখন সকলেই সমীহের চোখে দেখে। আমি মনে করি, এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’