আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, কোন বহির্শক্তির পরামর্শে নয়। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে রাজধানীর স্বামীবাগে রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন মানে হচ্ছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনে হেরে আওয়ামী লীগকে প্রমাণ দিতে হবে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। যত সংশয় থাকুক না কেন, এদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কারও কথায়, দেখানো রূপরেখা ও অন্য কোনো শক্তি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারবে না। নির্বাচন হবে সংবিধান ও সময় অনুযায়ী।

ওবায়দুল কাদের আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর স্বামীবাগে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে ইসকন স্বামীবাগ আশ্রমে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। কাজেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কারো কারো মধ্যে আশঙ্কা কাজ করে। আমি একটা কথা বলতে চাই… আমাদের দেশে নির্বাচন অতীতে দেখেছি, যতবারই নির্বাচনকে সামনে রেখে আশঙ্কা ছিল, ততোই আলো ঝলমল সকাল ঘনিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, আমরা কারো ভিসা নীতি, নিষেধাজ্ঞা এসব বিবেচনা করে নির্বাচনে যাচ্ছি না। আমাদের নজর সংবিধানের দিকে, দেশের জনগণের দিকে।

ভারতকে সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু  উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। এর সাথে বাংলাদেশের রাজনীতির কোন সম্পর্ক নেই। আজকে বিশ্বে অনেক বিষয় যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি,  জ্বালানি সংকট। এখানে বাংলাদেশ বিষয়ে কোন কথা হবে কিনা এটা নিয়েতো ভারতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়নি। কিংবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমরা কোন প্রস্তাব পাঠাইনি বাইডেনকে বোঝানোর জন্য।’

তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করতে ভিসানীতি প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কিছু করণীয় আছে কিনা সেটা তার দৃষ্টিকোণ থেকে নিজস্ব ব্যাপার। বাংলাদেশের কোন নির্বাচন নিয়ে ভারত কোন প্রশ্ন বা হস্তক্ষেপ করেছে- এমন জানা নেই বলে জানান ওবায়দুল কাদের।