মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একসঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান পররাষ্ট্র দফতরে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং আমেরিকান পররাষ্ট্র দফতরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি এবং পরিবেশ বিষয়ক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্সিয়া বার্নিকাটের মধ্যে এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকটি ছিল ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৈঠকের একটি ফলোআপ। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৫.৫ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ সরবরাহ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে ধন্যবাদ জানান। মহামারির প্রথম দিন থেকেই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দু’দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তিনি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য মহামারি-ব্যবস্থাপনা সরঞ্জামের বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
এক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশের দক্ষ ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে উৎসাহ প্রদানের জন্য বাইডেন প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
বৈঠকে শ্রমিকের অধিকার ও সুরক্ষা, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশে আমেরিকান বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট আবার চালুসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে উভয় পক্ষই স্বীকার করে যে‑ ২০২০ সালের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৈঠক দুই দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতাকে গতি দিয়েছে এবং তারা এই বছরের শেষের দিকে পরবর্তী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৈঠক আয়োজনে রাজি হয়েছে।
বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং আমেরিকান পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।