কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন হাটে কোরবানির পশু ওঠতে শুরু করেছে। তবে হাটগুলো ছিল ক্রেতা শূন্য। এতে অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন খামারিরা। তবে রোববার (২৫ জুন) পশুর হাট যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
আর মাত্র দুই দিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই শেষ মুহূর্তে জমজমাট হয়ে ওঠেছে পশুর হাট। তবে এখনও দাম কমছে না কোরবানির পশুর। তাই মানুষের ভিড়ে পশুর হাট জমে ওঠলেও কেনাবেচা হচ্ছে কম। মানুষ দর-দাম করেই হাট মাতিয়ে তুলেছেন।
আগামী ২৯ জুন ত্যাগের মহিমায় ঈদ উদযাপিত হবে। মঙ্গলবার (২৭ জুন) থেকেই শুরু হয়ে যাবে ঈদের ছুটি। সময় খুবই কম। তাই কোরবানির জন্য পছন্দের পশুটি কিনতে এখন বেশিরভাগ মানুষই হাটে ছুটছেন। তবে যাদের কোরবানির পশু রাখার জায়গা নেই তারা এখনও রয়েছেন চাঁদরাতের অপেক্ষায়।
হাটে একদিকে যেমন দর-দাম চলছে অন্যদিকে তেমন পশু কেনাবেচাও চলছে। তবে বাজারে মাংসের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় কোরবানির পশুর দামও প্রায় দ্বিগুণ। খামারি ও ব্যবসায়ীরা মাংসের দামের কেজি হিসেবে পশুর দাম নির্ধারণ করছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি দাম হাঁকছেন। আর দাম বেশি হওয়ায় কম বাজেটে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকেই সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে খালি হাতেই ফিরছেন বাড়ি।
তবে যাদের সামর্থ্য রয়েছে- আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তারা বেশি দাম দিয়েই কোরবানির জন্য হাটের সেরা পশুটিই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। রোববার দুপুরের পর তাই মানুষের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।