গাজীপুরে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ ও ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে ধর্ষণকারীরা। রোববার সন্ধ্যার পর গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন পশ্চিম পানিশাইল এলাকার পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের কাছে নির্জন ফাঁকা জায়গায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় সোমবার নির্যাতিতা পোশাক শ্রমিক বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষকসহ তার ৪ জন সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ।

মামলার বরাত দিয়ে কাশিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, ওই নারী কাশিমপুরের পানিশাইল এলাকায় মামা-মামির সঙ্গে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় সুইং অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন। একই কারখানায় চাকরির সুবাদে আবু বক্কর সিদ্দিক রাহাত (২০) নামে এক শ্রমিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

পরে ওই তরুণীকে নতুন বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে রাহাত সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কৌশলে কাশিমপুর থানাধীন পশ্চিম পানিশাইল এলাকার (নয়দাগ) আর কে টেক্সটাইলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের কাছে নির্জন ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা চার ব্যক্তি তাকে পথরোধ করে। পরে তাকে নির্জন ফাঁকা স্থানে নিয়ে মোবারক নামে একজন ধর্ষণ করে। অপর চারজন এ সময় মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও ধারণ করে।

ধর্ষণের পর ধর্ষণকারী ও তার সহযোগীরা ওই তরুণীর কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ধারণকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। তখন বাধ্য হয়ে তার পিতাকে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা এনে ওই ধর্ষণকারীদের দেয়।

এ বিষয়ে কাউকে কিছু জানালে ভিডিওটি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেবে বলে হুমকি দিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ওই স্থান থেকে বিদায় করে দেয়। পর দিন ওই তরুণী থানায় মামলা করলে পুলিশ ধর্ষকসহ ৫ জনকে আটক করে।