‘ঘটনা সত্য’ নাটকে বিশেষ শিশুদের নিয়ে ‘আপত্তিকর বার্তা’ ছড়িয়ে ‘দায়িত্বহীনতার পরিচয়’ দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে ছোট পর্দার ১৪ সংগঠনের মোর্চা ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন-এফটিপিও। তারা বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করবে বলে জানিয়েছে। নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্টরা। প্রতিবাদের ঝড় বইছে এখনও। তবে এতকিছুর পরও নাটকটি নিয়ে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেছে অভিনয় শিল্পী সংঘ।

এক বিবৃতিতে অভিনয় শিল্পীসংঘ জানিয়েছে, নাটকটির আপত্তিকর সংলাপের বিষয়ে জানতেন না এর প্রধান দুই শিল্পী আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। সংগঠনটি বলেছে, ‘সম্প্রতি ঈদের এ নাটকটির শেষ দৃশ্যের ধারাবর্ণনা নিয়ে যে তীব্র সমালোচনা হচ্ছে তা আমরাও সমর্থন করি। বিশেষ শিশুর জন্মের জন্য পিতা-মাতার অনৈতিক কর্মকাণ্ড দায়ী- এটা অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক ও সামাজিক রীতিবিরুদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে আমরা অভিনয় শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের সংলাপ নিজেরা উচ্চারণ করেননি। ভয়েস ওভারের মাধ্যমে এটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা পাণ্ডুলিপিতে ছিল না’

‘ঘটনা সত্য’ নাটকটি পরিচালনা করেছেন রুবেল হাসান। প্রযোজনায় আছে সিএমভি। নাটকটি ঈদ আয়োজনে চ্যানেল নাইনে প্রচারিত হয়েছে।

এতে প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম নিয়ে অবৈজ্ঞানিক বার্তা দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সংগঠন, অভিভাবক ও দর্শকদের প্রতিবাদের মধ্যে তোপের মুখে গত রবিবার দুঃখ প্রকাশ করে ইউটিউব থেকে নাটকটি সরিয়ে নিয়েছে সিএমভি।

সংলাপের বিষয়টি নিয়ে এফটিপিওর চেয়ারম্যান অভিনেতা-নাট্যকার-পরিচালক মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি খুব দায়িত্বহীন কাজ হয়েছে। নাট্যকাররা না জেনে-শুনেই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত, মেডিক্যালের বিষয়টিকে যে এভাবে তুলে ধরেছে তা ঘোরতর অন্যায়।’

নাটকে বিলকিছ নামে একজন গৃহপরিচারিকার চরিত্রে মেহজাবীন চৌধুরী ও মুকুল নামে একজন গাড়িচালকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি বিশেষ শিশুর জন্ম হয়।

নাটকের শেষভাগে সেই সন্তানের জন্মের কারণ হিসেবে তাদের ‘অতীত জীবনের পাপকে দায়ী’ করে বার্তা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী, রুবেল হাসান ও সিএমভি।

কিন্তু সংলাপের লিপ বা অভিনয় ক্যামেরায় ধারণ করা না হলে ডাবিংএর মাধ্যমে কি করে ঠোঁট মেলানো যায় বা ডায়লগ তৈরি করা যায় সে বিষয়ে কিছু বলেনি অভিনয় শিল্পীসংঘ।