রুশ দখলদার সেনারা চেরনোবিল পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের কাছে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একদন উপদেষ্টা। সেখানে ব্যাপক লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ধারণা, পারমাণবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী ওই পরামাণু শক্তি কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছে।

ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন তার সৈন্যরা ১৯৮৬ সালে এই অঞ্চলে ঘটে যাওয়া তেজস্ক্রিয় বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে লড়ে যাচ্ছে।

টুইটারে তিনি বলেন, রাশিয়ান দখলদার বাহিনী চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছে। ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি রোধে আমাদের সৈন্যরা তাদের জীবন দিয়ে যাচ্ছে।

ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্যপদ দাবি করার পর থেকে রাশিয়া এর বিরোধিতা করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্বের হুমকি-ধামকি আমলে না নিয়ে ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের মর্যাদা দেয় রাশিয়া। এমনকি সেখানে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য’ সেনা পাঠানোরও ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেয় রাশিয়া।

এদিকে, ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রথম ঘণ্টাতেই ৪০ ইউক্রেনীয় সেনা ও ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ।

এছাড়া প্রায় ৫০ জন রাশিয়ান সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার স্থল বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে ইউক্রেনে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘোষণা দেয় কিয়েভ।