ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জেরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ দুপুরে আমরা বৈঠকে বসি। সাড়ে বিকাল ৩টার দিকে বৈঠক শেষ হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ত্যাগ করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে সকালে আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
বিবদমান দুটি গ্রুপের এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্য পক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীরা আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় নাছির গ্রুপের চমেকের ৬১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুল হক (২৩) ও ৬২তম ব্যাচের নাইমুল ইসলাম (২০) আহত হন।
রাতের ঘটনার জের ধরে শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী আকবর হোসেনকে (২০) মারধর করে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। এরপর দুই পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পড়ে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশি পাহারায় সেখান থেকে বের হয়ে আসে।