বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে আনন্দমুখর পরিবেশে রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘রথযাত্রা’। রাজধানীর স্বামীবাগে ইসকন মন্দির থেকে এদিন শুরু হয় অন্যতম বৃহৎ রথযাত্রা। উল্টো রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হবে।
ধর্মমতে জগন্নাথ হলেন জগতের নাথ অর্থাৎ পরম প্রভু। এই দিনে ভক্তদের সাথে একাত্ম হতে তিনি মন্দির ছেড়ে পথে আসেন। সকল মানুষের সাথে সম্মিলন ঘটে। রথযাত্রা, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবগুলোর অন্যতম। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে আয়োজিত হয় রথযাত্রা। সনাতন ধর্মমত অনুযায়ি এই তিথিতে ভগবান জগন্নাথ তাঁর ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে পুরীতে তাঁর মাসির বাড়িতে যান। ভক্তরা টেনে নিয়ে যান তাঁদের রথ।
রাজধানীতে স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে (মঙ্গলবার) ২০শে জুন সকালে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। প্রতি বছরের মতো এবারও ৮ দিনের অনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়েছে।
স্বামীবাগে রথযাত্রার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
উদ্বোধনের পর বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। অবতার জগন্নাথ, ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রা এই ত্রিমূর্তিধারী রথ টেনে নিয়ে যান ভক্তরা। ধর্মমতে এই সময়ে ভগবান পৃথিবীতে নেমে আসেন ভক্তের সাথে সম্মিলনের জন্য। সবার মঙ্গল কামনায় মহানাম মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে রথযাত্রায় তৈরি হয় ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
স্বামীবাগ থেকে বের হওয়া রথের শোভাযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
রাজধানীর পাশাপাশি মানিকগঞ্জের ধামরাই, গাজীপুর, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রা।
আগামী ২৮শে জুন উল্টো রথযাত্রার বর্ণিল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে এই মহোৎসবের।