জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে মঙ্গলবার পিবিসির চেয়ার ও ভাইস-চেয়ারদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা পিবিসির প্রথম নারী হিসেবে এ কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে মঙ্গলবার পিবিসির চেয়ার ও ভাইস-চেয়ারদের নির্বাচনে ২০২২ সালের জন্য সর্বসম্মতিক্রমে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন।
বুধবার নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানকাল থেকেই পিবিসি’র সদস্য। এর আগে ২০১২ সালে বাংলাদেশ পিবিসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
বাংলাদেশকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করায় রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “উন্নয়ন ও শান্তি বিনির্মাণের ক্ষেত্রে কোভিড অতিমারি যে প্রভাব ফেলেছে তা প্রশমিত করতে আমরা বৈশ্বিক সংহতি এগিয়ে নিতে বিশেষ মনোযোগ দেব”।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষীগণ যে সকল দেশে নিয়োজিত সেই দেশসমূহের উন্নয়নে তারা যে অবদান রেখে চলেছে, শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই তা গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করে।
তিনি বলেন, “সাউথ-সাঊথ ও ট্রায়েঙ্গুলার কো-অপারেশন থেকে অনেক কিছুই অর্জন করা যেতে পারে, যেমন গুরুত্বপূর্ণ সম্পদসমূহের সঞ্চালন এবং উত্তম অনুশীলন ও উত্তম ধারণাসমূহ ভাগাভাগি করে নেওয়ার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা”।
রাবাব ফাতিমা আরও বলেন, “জাতীয় পর্যায়ে সুসংহত ও কার্যকর শান্তিবিনির্মাণ প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে যে সকল সংস্থা, তহবিল, কর্মসূচি এবং জাতিসংঘের কান্ট্রি টিম কাজ করছে তাদের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল রাখতে আমরা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাব”।
পিসবিল্ডিং কমিশন (পিবিসি) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সংস্থা। এই সংস্থা সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোতে শান্তি বিনির্মাণের জন্য কাজ করে, যাতে সংঘাতের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ (ইকোসক) থেকে নির্বাচিত সদস্যসহ ৩১ জন সদস্যের সমন্বয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পিবিসি। জাতিসংঘে শীর্ষ অর্থ প্রদানকারী ও শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোও কমিশনের সদস্য।
নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, বর্তমানে ইউএন উইমেন এক্সিকিউটিভ বোর্ড প্রেসিডেন্ট ও ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সহ-সভাপতির পদে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ।
এর আগে কো-চেয়ার, এলডিসি-৫ প্রস্তুতিমূলক কমিটি, ইউনিসেফ এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডন্ট ও ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ এবং ইউএনওপিএসের ভাইস প্রেসিডন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ।