চীনের উপহার, সরকারের কেনা ও কোভ্যাক্সের মিলিয়ে দেশটি থেকে আগামী তিন দিনে আরও প্রায় ২০ লাখ টিকা আসছে দেশে। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, চীন থেকে মোট ২০ লাখ ৬১ হাজার ২০০ ডোজ টিকা আসবে দেশে। এর মধ্যে রয়েছে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে দেয়া উপহারের ১০ লাখ, সরকারের কেনা ১০ লাখ ও কোভেক্সের ৬১ হাজার ২০০ ডোজ টিকা।

মঙ্গল ও বুধবার চীন থেকে দেশে এসে পৌঁছেছে দুই চালানে ৩৪ লাখ ডোজের বেশি টিকা। সব মিলিয়ে এক সপ্তাহেই দেশে আসছে সিনোফার্মের ৫৪ লাখ টিকা।

এর ১০ লাখ কেনা ও ১০ লাখ উপহারের। বাকি ৩৪ লাখ ৬২ হাজারের বেশি টিকা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে কোভ্যাক্সের চালানটি ঢাকায় পৌঁছাবে।

শুক্রবার বিকেল ৪টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসবে উপহারের ১০ লাখ ডোজ টিকা । শনিবার রাত পৌনে ১২টায় বাংলাদেশ সরকারের কেনা আরেকটি চালান হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।

বুধবার বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গড়া প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় চীনের সিনোফার্ম থেকে আরও ১৭ লাখ ৬০১ ডোজ দেশে পৌঁছেছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে টিকা বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের বিশেষ কার্গো বিমানের ইকে ৯৮৬০ ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

মঙ্গলবারও এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে ঢাকা আসে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আসা সিনোফার্মের ১৭ লাখ ৯ হাজার ৭৯৯ ডোজ টিকা।

সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশেও উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় চীন দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত হ্যালং ইয়ান। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘দ্রুতই আমরা বাংলাদেশে যৌথ উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছি।’

কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে টিকা দেয়ার বাইরেও উপহার হিসেবে শুরুতে ৫ লাখ ও কিছুদিন পর আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা দেয় চীন।

এর বাইরে সম্প্রতি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ির সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের তাসখন্দ বৈঠক উপলক্ষে সিনোফার্মের আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেয়া হয়। দেশটি থেকে সিনোফার্মের ৭৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৭ কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের জানান, এর মধ্যে দেড় কোটি ডোজের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি টাকা পরিশোধের প্রক্রিয়া চলছে।

ছয় কোটি ডোজ টিকা কেনার বিষয়টি বুধবার ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি আগের চেয়ে কমদামে কেনা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।