করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক পরিবর্তিত ধরন ডেল্টার বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দিতে সক্ষম দুই ডোজের করোনা টিকা ফাইজার-বায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা বিষয়ক অন্যতম নির্বাহী সংস্থা পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের (পিএইচই) সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার ব্রিটেনভিত্তিক চিকিৎসা সাময়িকী নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে সেই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পিএইচই-এর গবেষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছর মে মাসে করোনাভাইরাস ও এটির বিভিন্ন পরিবর্তিত ধরনের বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাসমূহের কার্যকারিতা নিয়ে যে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল, সাম্প্রতিক এই গবেষণা প্রতিবেদন তারই দ্বিতীয় পর্ব।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে পিএইচইর গবেষকরা জানিয়েছেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার প্রথম ডোজ ডেল্টার বিরুদ্ধে ৩৩ শতাংশ কার্যকর এবং দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর টিকা গ্রহণকারীরা ডেল্টার সংক্রমণ থেকে ৮৮ শতাংশ সুরক্ষা লাভ করেন।

অন্যদিকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার প্রথম ডোজ মানব দেহে ডেল্টা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৩০ শতাংশ প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং দ্বিতীয় ডোজের পর এই হার উন্নীত হয় ৬৭ শতাংশে।

এছাড়া, করোনার পরিবর্তিত ধরন আলফার বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেকের দুই ডোজ ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুরক্ষা দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।

গবেষণা প্রতিবেদনে পিএইচই গবেষকরা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত ধরন আলফার বিরুদ্ধে ফাইজার-বায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজ মানবদেহে যে পরিমাণ সুরক্ষা দেয়, তার সঙ্গে ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে দেওয়া সুরক্ষার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই।’

‘এ দুই টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর মানবদেহে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষা তৈরি হতে থাকে, যা সম্পূর্ণ হয় দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে দিয়ে। আর একটি বিষয় হলো- যাদের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী, বিশেষ করে তরুণ ও যুবা বয়সী মানুষ- তাদের বেলায় ডেল্টার সংক্রমণ প্রতিরোধে ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রায় সমানভাবে কার্যকর।’

ডেল্টার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দিতে সক্ষম আর একটি করোনা টিকা হলো স্পুটনিক ৫। এই টিকার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গামালিয়া ইন্সটিউট জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে স্পুটনিক ৫।