ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ৪০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা অংশের ক্যান্টনম্যান্ট এলাকা হতে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর পর্যন্ত এই যানজটে যাত্রী ও পণ্যবাহী বিভিন্ন যানবাহন আটকে আছে। ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শুক্রবার (৪ মার্চ) সকালে সড়কে ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় একটি লরি দুর্ঘটনার কারণে উদ্ধার কাজের জন্য সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

কুমিল্লা থেকে ঢাকা যাচ্ছেন বেলাল আহমেদ নামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে সকাল ৬টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে এসে গাড়ি থেমে যায়। ১১টায় তিনি চান্দিনার সদরে এসেছেন মাত্র।

কুমিল্লার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কাউসার নাহিদ বলেন, ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঢাকা যেতে হবে নামাজের আগে। আর যাওয়া হলো কই? এখন আবার বাড়ি ফিরবো।

এদিকে দাউদকান্দি থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে আসা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মহসিন বলেন, সকাল ৭টায় রওনা দিয়ে এখনও আছি ক্যান্টনমেন্ট। একেতো তীব্র গরম, তার ওপর এই যানজটে জান শেষ। অনেক শিশু ও বৃদ্ধরা ভোগান্তিতে আছেন।

চাঁদপুরের স্থানীয় সাংবাদিক সিরাজউল্লাহ সিরাজ বলেন, আমি সকাল ৭টা থেকে এখন পর্যন্ত চান্দিনা পার হতে পারিনি। দুই দিকে জ্যাম। কোনও দিকে গাড়ি যায় না। শুনলাম এক্সিডেন্ট হয়েছে। আর কিছুই দেখার সুযোগ নাই। কারণ গাড়ি এক জায়গায় দাঁড়ানো।

গৌরীপুর থেকে কুমিল্লা আসা যাত্রী মাসুদ সানভী বলেন, আমি বাড়ি থেকে ৮টায় রওনা দিয়েছি। বাসে উঠে বসে আছি, গাড়ি কোনও দিকে যায় না। সাড়ে তিন ঘণ্টার জ্যামে সব আটকে আছে।

ময়নামতি হাইওয়ে থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, দুর্ঘটনার শিকার লরিটির উদ্ধার কাজের জন্য যানজট হয়েছে। আমরা খুব দ্রুতই যানজট কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছি।