সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাজারমূল্য অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য ১৬৮ টাকা এবং বোতলজাত ৫ লিটারের দাম ৭৯৫ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ১৪৩ টাকা এবং খোলা পাম অয়েল লিটারপ্রতি ১৩৩ টাকা।

সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করে দিলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তা মানছেন না। বাজার মনিটরিংয়ে যৌথ অভিযানে মধ্যেও তারা গোপনে অতিরিক্ত দামে সয়াবিন তেল বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ।

এমন পরিস্থিতিতে সয়াবিন তেল বিক্রিতে ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দাম নিলে ভোক্তা অধিদপ্তরের হটলাইনে কল করে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তরা।

শুক্রবার ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনেকেই ভোজ্যতেলের প্রকৃত দাম সম্পর্কে জানেন না। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সে বিষয়টি ওয়াকিবহাল নয় তারা। আমরা মনে করি এটা প্রচার করা বেশি প্রয়োজন। কারও কাছ থেকে নির্ধারিত দামের বেশি নেওয়া হলে আমাদের হটলাইন ১৬১২১ নম্বরে কল করে অভিযোগ জানাতে হবে। আমরা দ্রুত অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবব।’

এদিকে, রমজানকে সামনে রেখে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা সয়াবিন মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তেল সরবরাহকারী বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, আগের মতোই প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল সরবরাহ করছেন তারা।

উল্টো অভিযোগ পাইকারি বিক্রেতাদের। তাদের দাবি, সয়াবিন সরবরাহকারী কোনো প্রতিষ্ঠান তেল সরবরাহ বন্ধ রেখে বাজারে সংকট সৃষ্টি করেছে। ডেলিভারি অর্ডার ওঠাতে পারছেন না তারা।

এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, রমজানকে সামনে রেখে বাজারে যাতে সয়াবিনসহ নিত্যপণ্যের কোনো কৃত্রিম সংকট না হয়, তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ছিল ১৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ছিল ১৩৬ টাকা। বোতলজাত সয়াবিনের পাঁচ লিটার তেলের দাম ছিল ৭৬০ টাকা এবং পাম তেলের দাম ছিল ১১৮ টাকা।