ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত জ্বালানি তেলবাহী জাহাজে আবারও বিস্ফোরণ হয়েছে। আজ (সোমবার) বিকেলে জাহাজ থেকে তেল অপসারণের সময় বিস্ফোরণের পরপর জাহাজে আগুন লেগে যায়। এতে পুলিশসহ প্রায় ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। এসময় পার্শবর্তী জাহাজেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের এই ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে শহরেও। এমন অবস্থায় আতংকে বাড়ী ছাড়ছে আশপাশের বাসিন্দারা।

আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক লিটন আহমেদ বলেন, আমারদের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসেছে, আরও ৪টি আসছে। বরিশাল থেকে ইতোমধ্যে উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে এসেছে।

সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটিতে প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল (পেট্রল ও ডিজেল) ছিল। সেখান থেকে সাত লাখ লিটার পেট্রোল পদ্মা অয়েল কোম্পানিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মৃদুলা-৫ এবং সেভেন সিমাক-২ জাহাজের মাধ্যমে ৬ লাখ ৭৫ হাজার লিটার ডিজেল স্থানান্তর করে পদ্মা ডিপোতে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানায় ডিপো কর্তৃপক্ষ। এরপর সাগর নন্দিনী-২ জাহাজ থেকে ৪ লাখ পেট্রোল অপসারণের সময় হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে আস্তে আস্তে পাশে থাকা জাহাজটিতে আগুন লেগে যায়।

shipএর আগে, গত শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে সাগর নন্দিনী-২ তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে মাষ্টার ব্রিজ ও স্টাফ কেবিনসহ পিছনের ইঞ্জিন রুমের উপরিভাগ নদীতে ডুবে যায়। সুগন্ধা নদীতে এ ঘটনায় ৫ জন আহত ও ৪ জন নিখোঁজ ছিলেন।

পরে রোববার (২ জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে জাহাজের পিছনের ইঞ্জিন রুমের ভিতর থেকে গ্রিজার আব্দুস ছালাম হৃদয় নামে একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে প্রথমে জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল, পরে সাড়ে ১২ টার দিকে মাষ্টার রুহুল আমিন, দুপুরে ইঞ্জিন ড্রাইভার সরোয়ার হোসেন আকরাম এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এক সপ্তাহ আগে তেলবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে এসে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তেলের ডিপো-সংলগ্ন এলাকায় নোঙর করে। জাহাজটিতে প্রায় ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল (পেট্রল ও ডিজেল) ছিল। এটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোয় খালাস করার অপেক্ষায় ছিল। ঈদুল আজহার ছুটিতে ডিপো বন্ধ থাকায় তেল খালাস করা সম্ভব হয়নি।