ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। ভারতীয় ডেল্টা ভাইরাসের হানার পর বেশ কিছুদিন মোদি সরকার খানিকটা স্বস্তিতে থাকলেও ওমিক্রন মাথা চাড়া দেওয়ায় রাত্রিকালিন কারফিউ এর মতো সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে ভারতকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৪২ জন করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটিতে সংক্রমণের হার ০.৫% ছাড়িয়েছে। ফলে, ভারত সরকার বিধিনিষেধে “হলুদ সতর্কতা” জারি করতে পারে।
দিল্লিতে সংক্রমণের বর্তমান হার ০.৬৮%, যা আগের দিন ০.৫% ছিল। বর্তমানে দিল্লিতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৮৯ জন, যা গত জুন মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ।
দিল্লিতে চার-পর্যায়ের গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের অধীনে “হলুদ সতর্কতা” কার্যকর হতে পারে। যদিও দিল্লি সরকার এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তবে, সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকে শহরে রাতের বেলায় কারফিউ কার্যকর হচ্ছে। যা বেলা ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলবে।
যদি হলুদ সতর্কতা ঘোষণা করা হয়, তাহলে দিল্লির বেশিরভাগ কার্যক্রমই আবারও বন্ধ হয়ে যাবে। শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, সিনেমা হল, জিম, সবই থাকবে এই নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখতে হবে এবং বেসরকারি অফিসগুলোকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫০% জনবল নিয়ে কাজ করতে হবে।
কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র বিক্রি এবং পরিষেবা দিয়ে থাকে এমন দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে রেস্টুরেন্টগুলোকে ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। এছাড়া, বারগুলো দুপুর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৫০% জনবল নিয়ে খোলা থাকতে পারবে।
তবে, হলুদ সতর্কতা জারি হলে বন্ধ থাকবে সিনেমা, ব্যাঙ্কোয়েট, স্টেডিয়াম, সুইমিং পুল, অডিটোরিয়াম, স্পা, জিম এবং বিনোদনকেন্দ্রগুলো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লি মেট্রো এবং আন্তঃরাজ্য বাসগুলোও ৫০% যাত্রী নিয়ে চলবে। অন্যদিকে, অটো, ই-রিকশা, ট্যাক্সি এবং সাইকেল রিকশায় মাত্র দুজন যাত্রীর অনুমতি দেওয়া হবে। বিয়ে এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মাত্র ২০ জনকে অনুমতি দেওয়া হবে। ধর্মীয় স্থানগুলো খোলা থাকলেও ভক্তদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।